কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় গোমতী নদীতে বুধবার বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ভেঙে গেছে একটি সেতু, যার ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন ১৫ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ।
চলাচলের একমাত্র মাধ্যম সেতুটি ভেঙে যাওয়ার ফলে দুই কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে এসব গ্রামের লোকজনকে।
গতকাল দুপুর দুইটার দিকে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় সেতুটির মাঝখানে ভেঙে যায়। এর পর থেকে আসমানীয়া বাজারের সঙ্গে তিতাস সদরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
তিতাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হাসান বলেন, ‘বুধবার দুপুরে বাল্কহেডের ধাক্কায় সেতুটি ভেঙে পড়ে। দুইটা বাল্কহেডের মধ্যে প্রতিযোগিতার কারণে এই অবস্থা হযেছে। বাল্কহেডগুলো জব্দ করা হয়েছে।’
সাধারণ মানুষের ভোগান্তির বিষয়ে ইউএনও নাজমুল বলেন, ‘ভেঙে যাওয়া ব্রিজটি মূলত পুরাতন একটি ব্রিজ। পাশেই গোমতী নদীর ওপর নতুন ব্রিজ হচ্ছে। এলাকাবাসীর সুবিধার্থে ব্রিজটি চালু করা হয়েছিলো।
‘এখন এটি মেরামত সময় ও ব্যয়সাপেক্ষ। ততদিন এসব এলাকার মানুষকে বিকল্প পথ বা নৌকা ব্যবহার করতে হবে।’
নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম খোকা বলেন, ‘বালুবাহী দুটি বাল্কহেডের ধাক্কায় সেতুটি ভেঙে ঝুলে আছে। এতে আমার ইউনিয়নের একমাত্র আসমানিয়া বাজারের সাথে পার্শ্ববর্তী কয়েকটি ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আর এখানে আগের স্টিলের পুরোনো সেতুটি ভেঙে গেছে। তার পাশেই নতুন সেতুর নির্মাণকাজ চলছে।
‘মানুষের চলাচল এবং পারাপারের জন্য বাল্কহেডের ধাক্কায় ভেঙে পড়া সেতুটি অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল।’
তিতাস উপজেলা প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম গতকাল বলেন, ‘আসমানিয়ায় গোমতী নদীতে নতুন সেতু নির্মাণকাজ চলমান। মানুষের চলাচলের জন্য স্টিলের পুরোনো সেতুটির সাথে কাঠ-বাঁশ দিয়ে অস্থায়ীভাবে সেতুটি নির্মাণ করেছিলাম।
‘আজ (বুধবার) দুটি বালুবাহী বাল্কহেডের প্রতিযোগিতার কারণে সেতুর সাথে ধাক্কা লাগে। এতে সেতুটির মাঝের অংশ ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আর স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় বালুবাহী বাল্কহেড আটক করা হয়েছে।’